Ads

স্ত্রীর বুদ্ধিমত্তা কিভাবে যাচাই করবেন? @মিঃ মধু

  

স্ত্রীর বুদ্ধিমত্তা কিভাবে যাচাই করবেন?

স্ত্রীর বুদ্ধিমত্তা কিভাবে যাচাই করবেন?  @মিঃ বুদ্ধিমান গাধা

এক কথায় উত্তরঃ-
স্ত্রীর বুদ্ধিমত্তা যাচাই করবে - এমন সাহস কার আছে?

সকল দিক থেকেই, স্বামী বেচারার বুদ্ধি স্ত্রীর চেয়ে অনেক কম। যত বড় বুদ্ধিজীবি হোক না কেন, সে তার স্ত্রীর কাছে কিছুই নয়। বুদ্ধি তো অনেক ছোট বিষয়, স্ত্রীরা স্বামীর মনের কথাও বুঝতে পারে। 
শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্ত্রীরা স্বামীর পরবর্তী পদক্ষেপ আগেই বলে দিতে পারে।


ছবির এই ভদ্রলোককে সবাই চিনেন। আইনেস্টাইন, বিশ্বব্যাপী তিনি বুদ্ধিমত্তার প্রতীক। কর্মজীবনের শেষের দিকে, তিনি শুধু গবেষনাতেই ব্যাস্ত থাকতেন। অন্য ধরনের গবেষনা হলে তাকে হয়তো ল্যাবরেটরীতে পাওয়া যেতো। কিন্তু তিনি অংক নিয়ে গবেষনা করতেন। সবসময় বই খাতা নিয়ে, টেবিলেই পড়ে থাকতেন। যাথারীতি ঘর সংসার তার স্ত্রীই সামলাতেন।

একদিন আইনেস্টাইনের স্ত্রী বাইরে যাবার সময় ডায়লগ দিচ্ছে - ঘরের কোন কাজ তো করো না, 
সংসার কিভাবে চলে সেটা জানো না। আমি বাজারে যাচ্ছি। যদি ধোপা আসে, 
তাহলে হিসাব নিকাশ করে তাকে টাকা দিও।

আইনেস্টাইনের স্ত্রী ফিরে এসে দেখতে পেলো - আইনেস্টাইন অনেকগুলো কাগজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে হিসাব করে চলছে। আর ধোপা গোমড়া মুখে অপেক্ষা করছে। ধোপা আগে কত টাকা নিয়েছে, এখন কত টাকা পাবে ইত্যাদি হিসাব চলছে। এতগুলো কাগজ লিখেও হিসাব শেষ হয়নি। আইনেস্টাইন তখনো হিসাব করে চলছেন।

এমন দৃশ্য দেখে, আইনেস্টাইনের স্ত্রী নিজে একটা কাগজ নিয়ে, যোগ বিয়োগ করে বললেন - ধোপাকে এত টাকা দিতে হবে। এরপর ধোপাকে টাকা দিলেন। টাকা নেবার সময় ধোপা বললো - ম্যডাম, স্যার একেবারেই অংক পারে না।

এই ঘটনার মাত্র কয়েক সপ্তাহের ভেতরেই আইনেস্টাইন নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন। ধোপার এই গল্পটির সত্যতা যাচাই করা যায় নি। তবে, স্ত্রীর কাছে আইনেস্টাইন মোটেও বুদ্ধিমান ছিলেন না ; সেটার সত্য।

স্ত্রীর বুদ্ধি যাচাই করার আগে, একটা বিষয় চিন্তা করুন - তিনি বুদ্ধিমতি বলেই আপনাকে স্বামী বানিয়ে রাখতে পেরেছেন।

ছেলেরা কেন এতো নিজের স্ত্রীকে ভয় পায়?

সম্পূর্ণ অচেনা একটা নারী ও একটি পুরুষ যখন পরস্পরকে দেখে, 
তখন তাদের মনে দুই ধরণের চিন্তা কাজ করে।

পুরুষ চিন্তা করে সৌন্দর্য
নারী চিন্তা করে বিপদ


পুরুষ কেন সৌন্দর্য চিন্তা করে, সে ব্যাপারে কোন ব্যখ্যা দরকার নেই। তবে নারী কেন বিপদ চিন্তা করে, সেটার সামান্য ব্যখ্যা দরকার।

মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় বিপদ হলো মৃত্যু। নারীদের জন্য এর চেয়ে একটু ছোট বিপদ হলো - 
ইজ্জত হারানো। নারীর ইজ্জত হরণ করার মতন অস্ত্র (!) সকল পুরুষের সাথেই থাকে। তাছাড়া পুরুষ শারীরিকভাবে বেশী শক্তিশালী। এ কারণেই নারীরা পুরুষকে বিপজ্জনক মনে করে, পুরুষকে ভয় করে।

এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গ। আপনি সুপারম্যান এর সাথে মারামারি করছেন। ছুরি দিয়ে আঘাত করলেন, 
কিছু হয় না। বন্দুক দিয়ে গুলি করলেন, কিছু হয় না। কামান, মেশিন গান, মিসাইল, সবই চেষ্টা করলেন । কোন কিছুই সুপারম্যানকে আহত করতে পারে না। অবশেষে আপনি পারমাণবিক বোমা হামলা করলেন। অবাক ব্যাপার, তাতেও সুপারম্যান আহত হলো না। এবার আপনি চিন্তা করুন, সেই সুপারম্যান আপনার কাছে কতটা ভয়ঙ্কর। সবচেয়ে বড় অস্ত্র পারমাণবিক বোমাতেও সে আহত হয় না। আপনি তার কাছে দুর্বল। আপনি সেই সুপারম্যানকে ভয় করেন।

এবার মূল প্রসঙ্গে আসি। নারীরা যে কারণে পুরুষকে সবচেয়ে বেশী ভয়ে করে, সেটা হলো ইজ্জত হারানোর ভয়। মজার ব্যাপার, স্বামীর কাছে তো ইজ্জত হারানোর ভয় থাকে না। অর্থাৎ, নারী জাতিকে বিপদে ফেলার জন্য পুরুষের সবচেয়ে শক্তিশালী যে অস্ত্র আছে, সেটা নিজের স্ত্রীর উপরে কাজ করে না।

সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যাকে কাবু করতে পারেনা, সে খুবই ভয়ঙ্কর। এজন্যই সবাই স্ত্রীকে এত ভয় করে।


মেয়েদের কাছে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষ বলতে কী বোঝায়?

বর্তমান যুগে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষ বলতে আমরা কি বুঝি? স্যুট-টাই পরা, পরিপাটি চুলওয়ালা, চকচকে তকতকে ত্বকবিশিষ্ট, রোলেক্স ঘড়ি হাতে দেয়া, বিএমডব্লিউ তে চড়া, পার্ফেক লুকের পুরুষদের আমরা ব্যক্তিত্ববান হিসেবে দেখি। মেয়েরাও দেখি প্রেমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে এসব গুনকেই প্রাধান্য দেয়।

ছোটবেলায় দেখতাম দাড়ি রাখা ফ্যাশনেবল ছিলনা। শাহরুখ খান, হৃত্তিক রোশানদের মত সুদর্শন নায়কদের তরুনরা পদে পদে অনুসরণ করতো। তারা কেউই দাড়ি রাখতো না, ক্লিন শেভড হয়ে পর্দায় হাজির হতো। তাই ক্লিন শেভ ছিল সে যুগের ফ্যাশন। কেউ দাড়ি রাখলে তাকে আদু ভাই, দেবদাস, রাস্তার ফকির, মাস্তান, বুড়ো উপাধি দেয়া হতো। মোটকথা সেই যুগে ক্লিন শেভ মানে ছিল ফ্যাশনেবল আর দাড়ি রাখা মানে ছিল ওল্ড ফ্যাশন।

উপরের দু'টো প্যারার মিল কোথায় জানেন? এখনো ধরতে পারেননি? আচ্ছা কোনটা ফ্যাশনেবল আর কোনটা ফ্যাশনেবল না এটা ঠিক করে কে বা কারা? এর পিছনে আছে অনেক বড় বড় কর্পোরেশন, আর মিডিয়া। আজ থেকে বিশ বছর আগেও যদি কেউ ছেঁড়া প্যান্ট পরতো , তাকে লোকে পাগল কিংবা ভিক্ষুক বলতো। আজ ছেঁড়া প্যান্ট হয়ে গেছে ফ্যাশন।

তাই বুঝতেই পারছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষের যে ডেফিনিশন আমাদের গেলানোর চেষ্টা করে তা প্রকৃত সত্য এর থেকে আলাদা। এবার চলুন জানা যাক কিভাবে একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষ হবো।

একবার চিন্তা করুন তো, আমাদের পূর্বপুরুষরা কেমন ছিল? তারা শিকার করতো, সাহসী ছিল, নিজের পরিবারের জন্য খাদ্য জোগাড় করতে নিজের প্রাণের ঝুঁকি পর্যন্ত নিতো, কাজে ক্ষেত্রে হিংস্র ও ছিল তারা। বনের বাঘ-সিংহের সাথে লড়াই করা ছিল তাদের নিত্যদিনের ব্যাপার। কিন্তু আজকালের ছেলেরা কুকুর দেখলেই ভয়ে পালায়। এমন কেন হলো? যাদের পূর্বপুরুষেরা এত নির্ভীক বীর্যবান ছিল, 
তাদের এমন পরিণতি কেন হলো? উত্তর সহজ। মিডিয়া পুরুষদের নপুংসক বানিয়েছে। কিভাবে বানিয়েছে? মিডিয়া বলছে চুলে জেল লাগাও, তা না হলে তোমাদের সুন্দর লাগবেনা, সবাই দল বেধে জেল লাগানো শুরু করলো। মিডিয়া বললো পুরনো কাপড় পরলে তুমি খ্যাত বলে পরিগনিত হবে, সবাই সে কথা মেনে নতুন নতুন কাপড় পরতে লাগলো। কেউ যদি পুরনো কাপড় পরেও, সবাই লাগে লজ্জা দিতে লাগলো। মিডিয়া বললো মুখে ক্রিম ঘসো, তা না হলে তোমাকে সুন্দর লাগবেনা। ছেলেরা সেটাও করা শুরু করলো।

এবার দেখা যাক আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ফ্যাশনের দিক দিয়ে কেমন ছিল। তারা এতটা পরিপাটি ছিলনা। তারা এত ময়েশ্চারাইজার গালে ঘসতো না কিংবা চুলে জেল লাগাত না। তাদের ছিল লম্বা দাড়ি, অপরিপাটি চুল। তাই বলে কি নারীরা তাদের পছন্দ করতো না? অবশ্যই করতো। তখনকার নারীরা জীবনসঙ্গী বাছাই করার সময় দেখতো সে কত সাহসী আর শক্তিশালী, লুক তাদের কাছে মূখ্য ছিলনা।


জনপ্রিয় এনিমেশন সিরিজ শ্রেক দেখেছেন নিশ্চয়ই। ওই যে আগুনে ঘেরা প্রাসাদের থেকে ঘুমন্ত রাজকন্যা কে বাঁচানোর জন্য প্রিন্স চার্মিং যায়, প্রিন্স চার্মিংয়ের চুমোতে রাজকন্যার ঘুম ভাঙ্গে। কিন্তু বিপত্তি হলো, এই প্রিন্স চার্মিং সুদর্শন নয়। সে এক সবুজ দৈত্য। সে আসলে কোনো রাজপুত্র ও নয়। তাকে অন্য এক রাজা পাঠিয়েছে রাজকন্যা কে উদ্ধার করার জন্য। কিন্তু রাজা নিজে কেন আসলোনা? যে রাজা তার ভালোবাসার জন্য নিজের জীবনের ঝুকি নিতে পারেনা সে আর যাইহোক সুপুরুষ হতে পারেনা। রাজা তার রাজ্যে বানিয়েছে বিশাল অট্টালিকা। কিন্তু এত বিশাল অট্টালিকা বানিয়ে সে তার কোনো বিশেষ ত্রুটি কে ঢাকার চেষ্টা করছে না তো? উত্তর হচ্ছে হ্যা। রাজা নিজে বামুন। 

তাই সে নিজের উচ্চতার ত্রুটিকে ভুলাবার জন্য উচু উচু প্রাসাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। এবার পাঠকরা একটা জবাব দিন তো। কুৎসিত সবুজ রণয়ের শ্রেক যে কিনা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, আগুনে ঘেরা প্রাসাদ থেকে ড্রাগনের হাত থেকে রাজকুমারীকে উদ্ধার করেছে সে সুপুরুষ, নাকি সেই রাজা যার উচু উচু প্রাসাদ আছে, কিন্তু যার রাজকুমারীকে বাচানোর সাহস নাই সে সুপুরুষ? সিদ্ধান্তটা আপনাদের বিচারের উপর ছেড়ে দিলাম।

দেখুন আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি বলছিনা আপনি অপরিপাটি হয়ে যান। আমি বলছিনা একমাস গোসল করে না থাকলে, দাড়ি বাড়ালে আপনি সুপুরুষ হয়ে যাবেন। বরং আমি বলছি, কোথাও পুরনো কাপড় পরে যেতে লজ্জা পাবেন না। কারণ পোশাক আপনার আসল পরিচয় নয়, আপনার আসল পরিচয় আপনার গুণ, মেধা, যোগ্যতা। অতএব গুণের দিকে নজর দিন। তাহলে সঠিক সময়ে সঠিক মেয়ে আপনাকে খুজে নিবে। আর যেসব মেয়ে আপনার গুনের জন্য নয়, বরং আপনার পোশাকের জন্য আপনাকে পছন্দ করবে, সে সঠিক মেয়ে নয়।

আর বোনেরা, আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, যে ছেলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পরিপাটি, বুঝে নিবেন সে তার কোন ত্রুটি বা দুর্বলতার জন্য ওভারকম্পেনসেট করছে করছে। যেসব ছেলে কথায় কথায় সরি বলে, মিনমিনে স্বভাবের, নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারেনা, কোনো ব্যাপারে না বলার সাহস রাখেনা, তাকে জীবনসঙ্গী বানাবেন না। সে আর যাই হোক সুপুরুষ নয়।


মেয়েরা পছন্দ করে এরকম কিছু বৈশিষ্ট্যর কথা বলুন?

মেয়েরা সৎ মানুষদের পছন্দ করে। ভালো মানুষদের পছন্দ করে। মেয়েরা মিথ্যা কথা পছন্দ করে না। 
এই প্রজন্মের অনেক মেয়ে আছে, তাঁরা নানান রকম রঙ ঢং করে বেড়ায়। এদের কাছ থেকে দূরে থাকবেন। একটা সহজ সরল মেয়ে দেখলেই আপনি তা বুঝতে পারবেন। তার সাথে কথা বললেই সেটা অনুভব করতে পারবেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, রমনীর মন সহস্র বছরের সখা সাধনার ধন। কাজেই মেয়েদের বৈশিষ্ঠ্য বুঝার আগে আপনি নিজেকে যোগ্য করে তুলুন। এই দুনিয়াতে কিছুই ফ্রি পাওয়া যায় না।

মেয়েরা মাসে দুই বার বাইরে খেতে পছন্দ করে। মেয়েরা গিফট পেতে পছন্দ করে। মেয়েরা বছরে তিনবার দেশ বিদেশ ভ্রমন করতে পছন্দ করে। মেয়েরা প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে না। কাজেই সব সময় তাদের প্রশংসা করবেন। যেমন, বাহ আজ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। তোমার হাতের চা অসাধারণ হয়। তোমার খুব বেশি সাজুকাজু করার দরকার নেই। সামান্য চোখে কাজল দিও, আর কপালে একটা টিপ তাতেই তোমাকে অসাধারণ লাগবে। মাঝে মাঝে দুজনে মিলে ছাদে যাবেন। আকশ দেখবেন। তখন যেন দুজনের হাতে চায়ের মগ থাকে।

প্রতিটা পুরুষের উচিৎ মেয়েদের সম্মান করা। এই চেষ্টা আপনার নিজের ঘর থেকেই করতে হবে। 
মা, বোন, ভাবী, বান্ধবী, কাজিন, বাসার কাজের বুয়া- সকল নারী জাতিকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করবেন। ঘরে বাইরে, অফিস আদালত সব জায়গায় নারীদের সম্মান করবেন। তাহলে আপনি সমাজে অতি সহজেই হিরো হয়ে যাবেন। হিরোদের নারীরা পছন্দ করে। ভালোবাসে। গরীবদের সাহায্য করবেন। রিকশাচালকদের সাথে ভাড়া নিয়ে বেহুদা চিল্লাচিল্লি করবেন না। ত্রিশ টাকার ভাড়া, চল্লিশ টাকা দিয়ে দিলে আপনার কিছুই যাবে আসবে না। একটা মেয়ে যা অপছন্দ করবে, সেগুলো একেবারেই কবেন না। কথায় বলে, মেয়েদের কাঁদিও না। স্বয়ং ভগবান রাখেন তাদের চোখের জলের হিসাব।

মেয়েদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। হবেই। যদি কোনো মেয়ের সাথে রেস্টুরেন্টে যান তাহলে আপনি আগেই চেয়ারে বসবেন না। মেয়েটাকে আগে বসাবেন। নিজের মা, বোন, স্ত্রী, বান্ধবী, কাজিন যে'ই হোক আগে তাকে বসাবেন। অতি তুচ্ছ বিষয় গুলোও মেয়েরা যত্ন করে খেয়াল করে। মনে রাখে। মেয়েদের নিয়ে কোনো সস্তার রেস্টুরেন্টে যাবেন না। জ্যাম, নোংরাএবং চিপাচাপা এলাকায় যাবেন না। সর্বোপরি মেয়েটার প্রতি আপনাকে যথেষ্ঠ কেয়ারিং থাকতে হবে। রাস্তা পার হওয়ার সময়, হাত ধরে রাস্তা পার করে দিবেন। মেয়েরা ফল খেতে পছন্দ করে, তাদের সব সময় ফল খেতে দিবেন।

আদর্শবান পুরুষদের মেয়েরা পছন্দ করে। ডিজে পার্টিতে না গিয়ে বইমেলায় নিয়ে যাবেন। তাকে অনেক গুলো বই কিনে দিবেন। সেসব বই আপনিও পড়বেন। দুজনের পড়া শেষ হলে সেসব বই নিয়ে আলাপ আলোচনা করবেন। চরিত্র গুলো বিশ্লেষন করবেন। ঘরে কাজে তাকে সাহায্য করুণ। নিজের হাতে নুডুলস, চা, পাকোরা ইত্যাদি তৈরি করে খেতে দিন। চোখের ডাক্তাররা যেমনটি বলেন, চোখের যত্ন নিন। চোখ আপনার যত্ন নিবে। ঠিক তেমনি একটি মেয়েকে ভালোবাসুন। শ্রদ্ধা ও সম্মান করুণ। তার যত্ন নিন। 
তার সব দিক ভালো মন্দ খেয়াল রাখুন। বিনিময়ে আপনিও তা ফেরত পাবেন।


বিবাহিত মেয়েরা কি চায় তার প্রতি তার স্বামী ছাড়া অন্য কেউ আকৃষ্ট হোক?


আসক্তঃ
বিবাহিত মেয়েরা হয়তো চাইবে না যে স্বামী ছাড়া কেউ তার প্রতি আসক্ত হোক। 
কেননা এতে সে বেকায়দায় পড়বে।

খুব সুন্দরী উচ্চশিক্ষিত একজন মেয়ে সে আপনাকে অপছন্দ করে তা নয়। সে আপনার শত্রুও নয়। 
তবে আপনি তার যোগ্য নন "ব্যটল অব সেক্সের" কারনে। আপনার চেয়ে অনেক সুদর্শন ও ভালো বেতন পায় অনেক ছেলেই আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী।

তাই ব্যটল অব সেক্স ব্যপারটিকে মাথায় রেখে আঙুর ফল টক এটা বলে মনকে সান্ত্বনা দেন। যে ব্যটল অব সেক্স বুঝে সেই বাস্তব বুঝে। জীবন মানেই লড়াই।

আকৃষ্টঃ
ছেলেদের আকৃষ্ট করা মেয়েদের বিবর্তনীয় কৌশল। মেয়েরা সেজেগুজে নিজেদের আকর্ষনীয় করবে। তবে সবসময় যে মেয়েরা সচেতনভাবে ছেলে আকৃষ্ট করার জন্যে সাজবে তা নয়। তবে এটা তাদের একটা অস্ত্র। বিবাহিত মেয়েরা অস্ত্র দিয়ে শিকার ধরে না বটে তবে সামরিক মহড়া দেয়। নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। যেহেতু অন্য ছেলেরা আমার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে তাহলে আমার স্বামীও আমাকে ভালোবাসবে। কিংবা আমার যৌবন এখনও শেষ হয়ে যায় নাই। এগুলি ভেবে সে তৃপ্ত হতে পারে।

বিবাহিত মেয়েরা অন্য ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু আসক্ত হয় নাঃ

বিবাহিত মেয়েদের স্বামী আসক্তির কারন বাচ্চার জিনপুল। মেয়েদের সবকিছু বাচ্চাকে নিয়ে।

মেয়েরাও বহুগামী। বিবাহিত মেয়েরা অন্য ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু আসক্ত হয় না। কারন বাচ্চার জিনপুলে অন্য ছেলের অস্তিত্ব নেই। তাদের টেনশন নতুন প্রেমিক বাচ্চাকে এতোটা আদর করবে না। যেভাবে বাচ্চার বাবা করে।

স্বামী অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়ালে স্ত্রী অন্য ছেলের সাথের সাথে পরকীয়ায় জড়ালেই পারে। তাছাড়া একটি মেয়ের জন্যে পতিতা হওয়া বা পরকীয়া করা বা অন্য ছেলে বশ করা এতো কঠিন নয়। তবু কেন মেয়েরা স্বামী আসক্ত হয়ে আত্মহুতি দেয়?

উত্তরঃ নতুন প্রেমিক তো তার বাচ্চাকে নিজের সন্তান ভাববে না। নারীদের সেক্স ও যৌনতায় বাচ্চা জড়িত। বিবর্তন এভাবেই হয়েছে।

নারীদের বিবর্তন হয়েছে স্বামীর প্রতি আসক্ত হয়েই। তাই শত নির্যাতনেও মেয়েরা স্বামীর ঘর ছাড়তে চায় না। মেয়েরা যা করে বাচ্চার মঙ্গলের জন্যে করে। তাই মেয়েরা যে করেই হোক সংসার টিকিয়ে রাখতে চায়। আর দাম্পত্য কলহ তো আছেই। এর মাঝেই জিনপুলকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা। এটাই বিবর্তন।


২৫ বছর বয়সের আগে কী কী জানা উচিত?

আমরা অনেকেই না জেনে অথবা আবেগের বশে কিছু ভুল কাজ করি।
যার জন্য পরবর্তীতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।

০১/
তাদের জন্য সময় নষ্ট করবেন না, যারা আপনার মূল্য বোঝে না।

০২/
সোশ্যাল মিডিয়াতে কারো সাথে তর্কে যাবেন না।

০৩/
আপনি যখন কাউকে কোনো বার্তা বা ই-মেইল পাঠান, তখন বুঝে শুনে পাঠাবেন।
কারণ এটা ভয়ংকর আকারে হানা দিতে পারে, যা আপনি কল্পনাও করেন নি।

০৪/
কখনোই চেষ্টা করবেন না মানুষকে আপনার অনুভূতি বোঝাতে। যে বোঝার সে আপনা থেকেই বুঝবে, আর যে বুঝবে না তাকে হাজার বলেও বোঝাতে পারবেন না।

০৫/
আপনার কলিগ শুধু কলিগই। খুব বিরল না হলে, কলিগরা কখনো বন্ধু হয় না।

০৬/
অনলাইন রিলেশনশিপ বস্তুত সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না।
পরীক্ষা করে দেখতে চান? আপনার টাকা লাগবে বলে একটা পোস্ট দিন।
দেখবেন বেশীরভাগই জবাব দেবে না। যদিও এর মধ্যে ব্যতিক্রম থাকে,
কিন্তু ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হয় না।

০৭/
যখন আপনি খুব সুখে অথবা দুঃখে থাকেন, তখন কারে কী বলছেন এ ব্যাপারে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরী। এটা আপনার জন্যে ক্ষতির কারণ হতে পারে।

০৮/
নিজের আত্ম উন্নয়নে সময় দিন। শিখুন, টাকা রোজগার করুন, সুস্থ থাকুন ইত্যাদি।

০৯/
কখনোই অপরিচিত কাউকে নিজের ছবি বা ফোন নাম্বার দিবেন না,
যদি না খুব বেশি পরিচিত না হয়।

১০/
নিজেকে ভালবাসুন। কারণ ইনিই একজন যার সাথে আপনি সারা জীবন কাটাবেন।


কোন ১০টি জিনিস আপনার কখনও করা উচিত নয়?


১. নিজের ব্যাক্তিগত সমস্যার কথা খুব সহজে যাকেতাকে বলে ফেলবেন না ।
আপনি ভাবেত পারেন সমস্যার গুলো অন্যের কাছে বলে সমাধান পাবেন কিন্তু না এতে হিতে বিপরীত হতে পারে ।

২. যুগের সঙ্গে তাল মেলানো বা নিজেকে কুল প্রমাণ করার জন্য কখনও স্মোক করবেন না কিংবা মাদকদ্রব্য গ্রহণ করবেন না ।এতে নিজেকের ঝুকির মধ্যে ফেলে দিবেন ।

৩. কোন মানুষকে তার জাতি বা চামড়ার রং বা ধর্মের জন্য ছোট করবেন না ! সকলেই মানুষ, আপনি হয়তো জানেনে না তার মধ্যে অনেক ভালো গুন আছে ।

৪. কেউ জিজ্ঞাসা না করলে বা জানতে না চাইলে কাউকে যেচে জ্ঞান দিতে যাবেন না । সম্বভ হলে কথা কম বলার অভ্যাস করে তুলুন ।

৫. আপনার করা প্রত্যেকটি কাজের জন্য মানুষকে এক্সপ্লেইন করতে যাবেন না । আপনার করা কাজ সঠিক হলে কাজই তার ব্যাখ্যা দিয়ে দেবে মানুষকে।

৬. নিজের ভালোবাসা প্রমান করতে কখনো হাত কাটা, গলায় দড়ি দেওয়া, বিষ খাওয়া, রাগ করে বাড়িতে ভাত না খাওয়া, কিংবা কারোর বিছানায় যাওয়া এটা করবেন না। মনে রাখবেন প্রকৃত ভালোবাসা এরকম করে আসেনা বা প্রমাণ করা যায় না ।

৭. সবচেয়ে গুরুপ্তপুর্ন এটি মেনে চলুন , ক্যারিয়ার এবং ভালোবাসার ক্ষেত্রে সর্বদা ক্যারিয়ার কেই প্রাধান্য দেবেন । ক্যারিয়ার না থাকলে ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে ফুটপাতে বসে থাকাটা নিশ্চয়ই ভালো দেখাবে না । টাকার অভাবে দীর্ঘ বছরের ভালোবাসাও নষ্ট হতে দেখেছি আমি !

৮. নিজের বোনের গায়ে কখনো হাত তুলবেন না। কারণ আপনি তার আঘাতকারী নন বরং তার সব থেকে অন্যতম বড় আশ্রয় স্থল ও ভরসাস্থল।

৯.আপনার প্রাইভেট ম্যাটার সোশ্যাল মিডিয়াতে কখনো আলোচনা করবেন না ।কারণ আপনি নিজেও জানেন না যে এগুলো কে কে দেখছে বা কে শুনছে ! বা ভবিষ্যতে এর প্রভাব কি হতে পারে!

১০. নিজেকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটে কখনো কারো সঙ্গে অহেতুক তর্ক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না ! এই ধরনের ঘটনা দেখলে এড়িয়ে চলুন কমেন্ট সেকশন ত্যাগ করুন ।


বিবাহিত জীবনে বারংবার স্ত্রীর প্রেমে পড়ার উপায় কী?

আফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় হঠাৎ খেয়াল করি আমাদের অফিসের একজন স্টাফ খালিদ হাতে একটা গোলাপ নিয়ে রাস্তায় পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আমি গাড়ির কাঁচটা নিচে নামিয়ে বললাম,

-- আরে খালিদ, এইখানে কি করছো?

খালিদ গোলাপটা পিছন দিকে আড়াল করে বললো,

-বাসায় যাবো স্যার, তাই রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি

আমি বললাম,

--তোমার বাসা কোথায়?

খালিদ মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো,

- উত্তরাতে স্যার

আমি অবাক হয়ে বললাম,

-- আরে আমার বাসাও তো উত্তরাতে। আসো তোমার বাসায় নামিয়ে দিবো নে

খালিদ আমার কথা মত গাড়িতে উঠলো। ফুলটা যখন আমার চোখের সামনে থেকে আড়াল করতে চাইছিলো আমি তখন বললাম,

-- ফুল কার জন্য?

খালিদ লাজুক হাসি হেসে বললো,

- আমার স্ত্রী অর্পিতার জন্য?

-- আজ কোন স্পেশাল দিন নাকি?

-- জ্বি স্যার, আজকের দিনে আমি অর্পিতার প্রেমে পড়েছিলাম...

পরদিন অফিস থেকে যখন বাসায় ফিরবো তখন খালিদকে ডেকে বললাম, চলো একসাথে যাই।

গাড়ি দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ খালিদ আমায় বললো,

-স্যার, সামনে ফুলের দোকানটাতে এক মিনিটের জন্য গাড়িটা একটু দাঁড় করাবেন?

আমি গাড়িটা দাঁড় করাতেই খালিদ তড়িঘড়ি করে গাড়ি থেকে নেমে ফুলের দোকানটাতে ঢুকলো আর কিছুক্ষণ পর একটা লাল গোলাপ নিয়ে আসলো। আমি বললাম,

-- আজকেও স্পেশাল দিন নাকি?

খালিদ আগের মতই লাজুক হাসি হেসে বললো,

-জ্বি স্যার, আজকের দিনে আমি অর্পিতাকে দেখে প্রেমে পড়েছিলাম।

আমি অবাক হয়ে বললাম,

-- তুমি না কালকে বলেছো কালকের দিনে তুমি তোমার স্ত্রীকে দেখে প্রেমে পড়েছিলে? আবার আজকে একই কথা বলছো?

খালিদ মাথা নিচু করে বললো,

-স্যার, আমি যতবার আমার স্ত্রীকে দেখি ততবার আমি প্রথম থেকে ওর প্রেমে পরি। তাই আমার কাছে প্রতিটা দিন স্পেশাল

ভালবাসার এমন সস্তা লজিক শুনে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো। নিজের রাগটা কোন রকম কন্ট্রোল করে খালিদকে বললাম,

-- নতুন নতুন বিয়ে করেছো হয়তো তাই তোমার কাছে প্রতিটা দিন স্পেশাল মনে হচ্ছে। আমার মত দুই বছর সংসার করো তখন দেখবে সংসারটাকে জাহান্নাম মনে হবে

খালিদ আর কিছু বললো না। আমি রেগে গেছি হয়তো সেটা বুঝতে পেরেছে। শুধু গাড়ি থেকে নামার সময় বললো,

- স্যার, আমি বিয়ে করেছি ৫ বছর ৯ মাস হতে চললো। বিশ্বাস করেন আমাদের ভালোবাসাটা এখনো প্রথম দিনের মতই আছে...

--

--

বাসায় ঢুকার পর দেখি শ্রাবণী টিভি দেখছে। আমার আসার শব্দ শুনে শ্রাবণী কাজের মেয়ে শেফালিকে বললো,

- শেফালি তোর স্যার এসেছে। টেবিলে খাবার দে

খাওয়া দাওয়ার পর বিছানায় যখন শুয়ে আছি তখন শ্রাবণী এসে বললো,

- কাল আমার ৫০ হাজার টাকা লাগবে। একটা নেকলেস পছন্দ হয়েছে কাল সেটা কিনবো।

আমি রেগে গিয়ে বললাম,

-- তোমার দুইদিন পরপর এত গহনা লাগে কেন? টাকা তো নিজে ইনকাম করো না তাই টাকার মূল্য বুঝো না।

আমার কথা শুনে শ্রাবণী রেগে গিয়ে বললো,

- নিজের বউয়ের শখ আহ্লাদ পূরণ করতে পারো না কেমন পুরুষ তুমি?

আমি ওর কথার কোনো উত্তর দিলাম না।

শ্রাবণী বালিশ নিয়ে অন্য রুমে চলে গেলো আর আমি শুয়ে শুয়ে খালিদের কথা ভাবতে লাগলাম, হাদারাম বলে কি না স্ত্রীকে যখনি দেখে তখনি প্রেমে পরে। আরে আমারতো স্ত্রীর চেহারাটা দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় প্রেমে পরবো দূরের কথা...

--

--

অফিসে আসার পর খালিদকে আমার রুমে ডেকে এনে বললাম,

--তুমি খুব ভাগ্যবান পুরুষ। আমি আমার স্ত্রীর পিছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করেও ভালোবাসার রঙ ধরে রাখতে পারি নি আর তুমি মাত্র ১৫টাকা দামের গোলাপ দিয়ে এত বছর ধরে ভালোবাসার রঙ ঠিক রেখেছো

খালিদ মুচকি হেসে বললো,

- স্যার, ভালবাসার রঙ কখনোই বদলায় না শুধু বদলে যায় আমরা আর আমাদের পাশে থাকা মানুষটি

আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম,

-- আমি বদলায় নি কিন্তু আমার স্ত্রী বদলে গেছে

খালিদ তখন বললো,

- বদলে যাওয়ার জন্য হয়তো আপনি নিজেই দায়ী

-- মানে?

খালিদ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,

- স্যার, স্ত্রী হলো মাটির মত আর ভালোবাসা হলো পানি। আপনি দুইটা একসাথে মিশিয়ে আপনার ইচ্ছে মত আকৃতি দিতে পারবেন। আপনার স্ত্রী কখনোই আপনার কাছে লাখ টাকা দামের জিনিস চাইবে না যদি আপনি মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তার পাশে ৩০টাকার ফুচকা খান। আপনার স্ত্রী কখনোই আপনাকে বলবে না আমার দামী গাড়ি কিনে দাও যদি আপনি মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে হুট খোলা রিকশায় এই শহরটা একটু ঘুরে বেড়ান। পুরো সংসারের কাজ কারার পরেও আপনার স্ত্রীর বলবে না কষ্ট হচ্ছে ন যদি আপনি আপনার স্ত্রীর কপালে ভালোবেসে একটা চুমু খান।

একজন স্ত্রীর চাহিদা তখনি বেড়ে যায় যখন স্বামীর সাথে তার দূরত্ব বেড়ে যায়। তখন সে গহনা, শাড়ি, দামী জিনিস এইসবের মাঝে নিজের ভালোলাগা খুঁজে বেড়ায়।

আমার চুপ করা দেখে খালিদ উঠে দাঁড়ালো। দরজার কাছে গিয়ে আবার আমার কাছে ফিরে এসে বললো,

-স্যার, ভালোবাসা শুধু দামী জিনিসের মধ্যে লুকিয়ে থাকে না। মাঝে মধ্যে ভালোবাসা ১৫ টাকা দামের গোলাপ আর রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া ২৫ টাকা দামের কাঁচের চুরির মধ্যেও লুকিয়ে থাকে। একটাবার ভাবীকে বলে দেখেন ভালোবাসি দেখবেন আপনার চেয়েও হাজার গুণ ভালোবাসা ভাবী আপনাকে ফিরিয়ে দিবে

বাসায় এসে দেখি শ্রাবণী ওর কিনে নতুন গহনা পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে শেফালিকে বললো,

- টেবিলে খাবার দে

পিছনে লুকিয়ে রাখা গোলাপটা বের করে শ্রাবণীকে দিয়ে বললাম,

-- তোমায় খুব ভালোবাসি আমি

শ্রাবণী অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

- তোমার ঐ হাতে কি?

আমি বললাম,

-- তেমন কিছু না। এক ডজন কাঁচের চুড়ি এনেছিলাম তোমার জন্য। ভেবেছিলাম নিজ হাতে তোমায় পরিয়ে দিবো কিন্তু তোমার এই এত দামী সোনার গহনার সাথে এই কাঁচের চুড়ি মানাবে না।

আমার কথা শুনে শ্রাবণী গহনা খুলে ফেলে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো,

-- কাঁচের চুড়িগুলো পরিয়ে দাও বলছি...

একটা ১৫টাকা দামের গোলাপ আর ১ ডজন কাঁচের চুড়ির মাঝে কি আছে আমার জানা নেই। 
আমি শুধু অবাক হয়ে শ্রাবণীকে দেখছি। হুট করেই দুই বছরের চেনা মানুষটা অচেনা হয়ে গেছে। 
আজ সে নিজ হাতে আমার পছন্দের খাবার রান্না করছে, 
অথচ কা'দিন আগেও আমার খাবারটা কাজের মেয়ে বেড়ে দিতো। 


ধন্যবাদান্তেঃ------
মওদুদ আহমেদ মধু (মিঃ মধু)
@অদৃশ্য কাব্য
#_দৃশ্যমান_জীবনের_অদৃশ্য_কাব্য✅

No comments

Powered by Blogger.