Ads

সাম্প্রতিক জীবনের ভয়ংকর গুরুত্বপূর্ণ যে ১৫টি বিষয়ে জেনে রাখা জরূরী

সাম্প্রতিক জীবনের ভয়ংকর গুরুত্বপূর্ণ যে ১৫টি বিষয়ে জেনে রাখা জরূরী।

সাম্প্রতিক জীবনের ভয়ংকর গুরুত্বপূর্ণ যে ১৫টি বিষয়ে জেনে রাখা জরূরী  @মিঃ মধু

আধুনিক বিশ্বে বেঁচে থাকতে এবং উন্নতি করতে চাইছেন?
নিম্নে আলোচিত ১৫টি প্রয়োজনীয় তালিকার দিকে ফোকাস করুন।
এই ১৫টি আইটেম দিয়ে, আপনার জীবনের পথপরিস্কার করার জন্য সহায়ক হবেই হবে।
আপনি একজন ছাত্র, একজন ব্যস্ত পেশাদার, বা বাড়িতে থাকা অভিভাবকই হোন না কেন,
এই ১৫টি আইটেম আপনাকে শীর্ষে থাকতে সাহায্য করবে।

তাই অপেক্ষা করবেন না -
এই ১৫টি প্রয়োজনীয় ঘটনা দিয়ে আজই আপনার বেঁচে থাকার কিট তৈরি করা শুরু করুন।

গুগল নিউজে ফলো করুন “অদৃশ্য কাব্য” (মিঃ মধু)

যে ১৫টি বিষয়ের উপর আজকের আলোচনাঃ---

০১) আপনি নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে পান না কেন?
০২) জীবনে সফলতা পাওয়ার জন্য প্রত্যেকদিন কী করতে হবে?
০৩) কোন সফলতার গল্প কাহিনী অবশ্যই জানা থাকা প্রয়োজন?
০৪) অনেক চেষ্টার পরেও যদি কাঙ্ক্ষিত কিছু না পাই তা হলে কী করা উচিত?
০৫) ডিপ্রেশন থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া জেতে পারে?
০৬) প্রিয় মানুষটা অবহেলা করলে কী করা উচিত?
০৭) কথা গুছিয়ে না বলতে পারার কারণ কী?
০৮) ডিপ্রেশন দূর করার সঠিক উপায় কী?
০৯) মানুষের গরিব হওয়ার কারণ কী?
১০) নিজেকে পরিবর্তন করার সঠিক উপায় কি?
১১) কোন একজন নারীর সফলতার গল্প আপনি জানেন না?
১২) কিভাবে জীবনকে অনেক বেশি সুন্দর করা যায়?
১৩) সুন্দর একটি শিক্ষনীয় গল্প জানতে চান কি?
১৪) কিভাবে স্বপ্ন দেখা ও স্বপ্নকে পূর্ণ করতে হয়?
১৫) শিবের মতো বর লাভের আকাঙ্খা কেন করে মেয়েরা?

অদৃশ্য কাব্য’র ট্রন্ডিং গুগল ওয়েব ষ্টোরিস দেখতে ভিজিট করতে পারেন

০১) আপনি নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে পান না কেন?

নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে পাচ্ছেন না সেটা থাক,
চলুন আমরা জানার চেষ্টা করি কী কী করলে আমাদের মাথায় নতুন নতুন আইডিয়া এসে ঘুরপাক খেতে পারে।

ক) আপনার যদি দুর্দান্ত অসাধারণ কল্পনা শক্তি থাকে তাহলে আপনি অর্ধেক বিজ্ঞানী হয়েই আছেন।
কল্পনাশক্তির যে গুরুত্ব কতটুকু তা জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ভাষায় শুনুন- " কল্পনা জ্ঞানের থেকেও শক্তিশালী। "
তাই আপনি নতুন নতুন বিষয়ে কল্পনার মাধ্যমে ভাবার চেষ্টা করুন, বোঝার চেষ্টা করুন।

খ) নিজের মন মত কাজ করুন, যা মন চায় তাই করুন, কারো কথা শুনে (যে এটাতে টাকা বেশি, কাজ কম, খাটনি কম,
খুব বেশি কাজ করতে হয় না) কোনো কাজ করবেন না। প্রথমে মনকে খুঁজে নিতে দিন, স্বাধীনতা দিন,
দেখবেন ভালো লাগার কাজে নতুন নতুন আইডিয়া আসতে বাধ্য।

গ) পরিকল্পনা করুন, এগুলোকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করুন, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন,
লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়ে যান কিন্তু জীবনকে উপভোগ করতে ভুলবেন না।

ঘ) উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বেঁচে থাকবেন, স্বপ্ন দেখতে যেহেতু টাকা লাগে না তাহলে ছোট স্বপ্ন কেন দেখবেন,
নিজেকে প্রসারিত করুন, মনকে উড়তে দিন কিন্তু স্বপ্ন দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে কাটাবেন না।
মনে রাখবেন, স্বপ্ন যেমন আপনার তেমন এটা পুরনোর দায়িত্বও আপনার।

ঙ) আপনার নির্বাচিত বিষয়ের সমস্যা গুলোকে বিভিন্ন দিক থেকে বুঝতে চেষ্টা করুন, নতুন নতুন সমাধান সন্ধান করুন,
ক্রিয়েটিভ হোন, দেখবেন কত নতুন নতুন আইডিয়া আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে শুধু আপনি তাদেরকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন।

জীবন বিষয়ক মিঃ মধু’র ষ্পেশাল আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করতে পারেন

০২) জীবনে সফলতা পাওয়ার জন্য প্রত্যেকদিন কী করতে হবে?

ছোট করে একজন সফল হওয়া ব্যাক্তির গল্প বলি,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,, জ্যাক মা ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

চিনের ব্যবসায়ী, আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা সারা পৃথিবীর ব্যবসায়ী ও উদ্যাক্তাদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম, আদর্শের নাম।
প্রশ্ন হলো জ্যাক মা কি রাতারাতি সফল হয়েছেন? না, রাতারাতি সফল হননি। তাঁর সফলতার পেছনে রয়েছে ব্যর্থতার করুণ কাহিনী।
তিনি বার বার ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হয়েছেন কিন্তু কখনো ভেঙ্গে পড়েননি, সফলতার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে হেঁটে গিয়েছেন দুর্গম পথে।

চীনের জাতীয় কলেজে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ হতে সময় লেগেছে তিন বছর। যেখানে বছরে মাত্র একবার সুযোগ দেয়া হয়,
সেখানে জ্যাক মার লেগেছে তৃতীয় চান্স। হাভার্ডে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন দশবার কিন্তু প্রতিবারই তাকে প্রত্যাখাত হতে হয়েছে। হোঁচট খেতে হয়েছে চাকুরী বাজারেও।

ছোট বড় প্রায় ত্রিশটি কোম্পানিতে আবেদন করেও কোন সুফল আসেনি। বরাবরের মত প্রত্যাখাত হতে হয়েছে।
পুলিশের চাকুরীতে আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন এমনকি তার শহরে কেএফসি চালু হলে সেখানেও আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছেন।
আলিবাবার সফলতার আগে আরো দুটো উদ্যেগে খুব খারাপ ভাবে ব্যর্থ হন। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি।

সফলতার স্বপ্ন দেখেছেন দিনের পর দিন। তাইতো আলিবাবা বর্তমানে বিজনেস টু বিজনেস, বিজনেস টু কাস্টমার,
কাস্টমার টু কাস্টমার সার্ভিস দেয়া কয়েকশত বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
ফোর্বসের “রিয়েল টাইম নেট ওর্থ” এর হিসাব অনুযায়ী জ্যাক মার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় চৌত্রিশ বিলিয়ন ডলার।

এবার নিশ্চয় আপনি বুঝতে পেরেছেন আপনার কি করা উচিত।

গল্প কবিতা প্রবন্ধ উপন্যাস ভ্রমন আত্মজীবনী পড়তে ভিজিট করতে পারেন

০৩) কোন সফলতার গল্প কাহিনী অবশ্যই জানা থাকা প্রয়োজন?


★ শ্রীলংকার সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রেমাদাসা বস্তির ছেলে ছিলেন।

★ ভারতের প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী চা বিক্রি করতেন।

★ পরমাণু বিজ্ঞানী এ পি জে আবুল কালাম একেবারেই অজ পাড়াগাঁ থেকে উঠে এসেছেন।

★ ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন মেজর শ্রমিক ছিলেন।

★ আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হাওড়া ব্রিজের নিচে কমলা ফেরি করেছিলেন।

★ আজাদ প্রোডাক্টাস এর মালিক আজাদ সাহেব ফুটপাতে কার্ড বিক্রি করতেন।

★ আরপি সাহা প্রথম জীবনে কুলি ছিলেন।

★ হিটলার ১ম জীবনে সাধারণ সৈনিক ছিলেন, তাঁকে অনেক অবজ্ঞা অবহেলা সহ্য করতে হয়েছিল।

★ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের পড়ার খরচ উঠে এসেছিল বাজারের চাঁদা তুলে।

★ নেলসন মেন্ডালার পুরো যৌবন কেটেছে জেলের ভিতর, 
কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভুলতে পারেন নি, 
উনিই হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ১ম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট।

আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে সুবিধা ভোগীদের থেকে সুবিধা বঞ্চিতরাই বেশি সফল।
দুনিয়ায় শত শত সফল মানুষ আছে তারা প্রথম জীবনে অনেক খারাপ অবস্থায় ছিল।
বর্তমান বিলিওনিয়রদের ৯০% ই জিরো থেকে উঠে আসা।

বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট, স্টিভ জবস এদের জীবনী পড়ুন।
তারা আপনার চেয়ে অসহায় অবস্থায় ছিল জীবনের একটি পর্যায়ে।
বিশ্বব্যাপী আজ শিশুদের পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয় বিল গেটসের টাকায়।

ভালোবাসা বিষয়ক সার্বিক পর্যালোচনা উক্তি ষ্ট্যাটাস জানতে ভিজিট করতে পারেন

০৪) অনেক চেষ্টার পরেও যদি কাঙ্ক্ষিত কিছু না পাই তা হলে কী করা উচিত?

আপনাকে আগে চিন্তা করতে হবে সে বস্তুটি আপনার জন্য হালাল নাকি হারাম।
যদি হারাম/ক্ষতিকর হয় তাহলে সেটার পেছনে সময় ব্যয় করা বাদ দিন
এবং এতদিনের ব্যায়িত সময়ের জন্য অনুতপ্ত হোন।
আর যদি সেটা হারাম/ক্ষতিকর না হয় তাহলে চিন্তা করুন আপনি কোন পর্যায়ের চেষ্টা করেছেন?
সেটা কি আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিলো কিনা? নাকি চেষ্টায় কোনো ঘাটতি ছিলো।
যদি আপনার চেষ্টায় ঘাটতি থাকে তাহলে আবারো আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিন।
আর যদি এরপরও না পান তাহলে হতাশ হবেন না।
সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও যদি সেটা আপনার না হয় তার মানে সেটা আপনার জন্য নয়।
সেটা অন্য কারো৷ তাই আপনি এত চেষ্টা করেও ব্যার্থ হলেন সেটা পেতে।
যদি স্রষ্টা/ভাগ্যে বিশ্বাস থাকে তাহলেই আপনি এই ব্যর্থতা মেনে নিতে পারবেন।
এটা আসলে ব্যার্থতা না, এটা আপনার না এইটুকুই আরকি।

জীবন নিয়ে সার্বিক উক্তি-বাণী-আদেশ-উপদেশ-মোটিভেশান জানতে ভিজিট করতে পারেন

০৫) ডিপ্রেশন থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া জেতে পারে ?

খুব কঠিন একটা প্রশ্ন তবে উত্তরটা খুবই সহজ আবার উত্তরে যা বলা হবে সেটা করা আরো কঠিন,
তবে চেষ্টা করলে অসম্ভবও নয়।

প্রথমত, আমরা যেটাকে ডিপ্রেশন বলি সেটা আসলে ডিপ্রেশন নাকি অন্যকিছু তা বুঝতে হবে।

দ্বিতীয়ত, ডিপ্রেশনকে বলা হয় কমন ডিসওর্ডার (ব্যাধি)। অর্থাৎ, সবার মধ্যেই কম বেশি ইহার রাজত্ব। 
ইহার বাংলা অর্থ বিষন্নতা।
যদি মনে হয় কোনো কারনে আপনি হতোভম্ব বা মনমরা বা বিষন্নতায় ভুগছেন তাহলে যা করতে পারেন।
আর ব্যক্তিগত ভাবে আমি যা করি - ( অবশ্যই মন দিয়ে পড়বেন)

° (সবচেয়ে ভালো ফলদায়ক) আয়নাতে নিজেকে দেখুন যতক্ষন হাসি না আসে।

° যা ইচ্ছে তাই বকুন / চিল্লান জোরে.. অথবা গান গাইতে পারেন ( মনে যা আসে)।
নাচুন যতক্ষন ঘেমে ভিজে না যান… নাচতে না পারলে উরাগ তেরাগ লাফাবেন। এতে শারীরিক পরিশ্রম হবে।

° মোটিভেশনাল ভিডিও কম দেখবেন… শুধু দুই একটা দেখবেন…
কারন, প্রায়ই দেখা যায় মানুষ যখন নিজেকে সামলাতে না পারে তখন মোটিভেশন খোঁজে…
ফেসবুক টাইমলাইন মোটিভেশনাল পোষ্ট শেয়ার করে ভরে ফেলে…
অতিরিক্ত মোটিভেশন অনেক সময় মানুষকে আরো ডিমোটিভেট করে।
এতে যিনি মোটিভেশন দেন তার কোনো দোষ নেই।
দোষ হলো আমরা সহজে সঠিক ভাবে নিতে পারি না।

° প্রতিদিন বই পড়বেন… যতটা পারেন.. অন্তত এক পৃষ্টা করে হলেও পড়বেন…
হয়তো পড়াটা আমি সব মনে রাখতে পারবেন না। কিন্তু,
এতে আপনার নেগেটিভ চিন্তা দূর হয় বইয়ের পজেটিভ নলেজ কিছুটা হলেও আপনার ব্রেইন স্টোর করবে।

° ধুমপান, মদ পান করলে এগুলো ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
কারণ, ইহা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

° এবং, সর্বশেষ, ততক্ষন কাজ করুন -যতক্ষনে ক্লান্ত না হন…
ততক্ষন খাবেন না -যতক্ষনে খিদা না লাগে🙂 ততক্ষনে ঘুমাবেন না- যতক্ষনে ঘুম না আসে।
পরিশ্রম করলে খিদেও বেশি লাগে আর ঘুমও তারাতারি আসে,, চিন্তা মুক্ত ঘুম আসে।
আপনার মানসিক সমস্যার একমাত্র কার্যকরি সমাধান হলো,,,
নিজেকে সারাক্ষন যেকোনো কাজে ব্যস্ত রাখা…


সাম্প্রতিক ওয়াল্ড মিডিয়া এবং আয় ইনকাম বিষক নিউজ জানতে ভিজিট করতে পারেন

০৬) প্রিয় মানুষটা অবহেলা করলে কী করা উচিত?

যে মেয়েটা..ঘামের দুর্গন্ধ পেলে বমি করে দিতো;;
সেই মেয়েটাই এখন দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে থেকে,
কারো গায়ের ঘামে ভিজা শার্টা বারান্দায় নিয়ে শুকাতে দেয়.!

যে মেয়েটাকে.. বিয়ের আগে কেউ খাইয়ে না দিলে খেতে চাইতো না;;
সে মেয়েটাই এখন কারো জন্য খাবার বেড়ে বসে থাকে;;
কারণ প্রিয় মানুষটার মুখে খাবার না দিয়ে খাবার পেটে যায় না.!

যে মেয়েটার.. ঘর সবসময় অগোছালো থাকতো;;
সেই মেয়েটি এখন পুরো একটা পরিবার গুছাই;;
ঘরের প্রতিটি কোণায় কোণায় তার পদার্পন;;
কারণ সে এখন মেয়ে নয় কারো ঘরের বউ.!

যে মেয়েটার.. ঘুম ভাঙানোর জন্য মা প্রতিদিন বকা দিতো;;
সেই মেয়েটি এখন বাড়ির সবাইকে ডেকে তুলে;;
কারণ এই বাড়িতে সবার আগে তাকে উঠতে হয়.!

যে মেয়েটা.. বাচ্চাদের পায়খানা দেখলে দশ হাত দূরে থাকতো ;;
সেই মেয়েটিই এখন ন্যাপকিন নিয়ে বাবুর পেছনে দৌড়ায়;;
কারণ সে এখন একজন 'মা.!

যে মেয়েটা.. হাঁস-মুরগীর বিষ্ঠা দেখলে একসময় নাক ছিটকাতো;;
সে মেয়েটিই এখন তলপ্রদেশে হাত দিয়ে দেখে ডিম আছে কি না;;
কারণ ছোট্ট সোনামণিটা যে ডিম খেতে বড্ড বেশি ভালোবাসে.!

যে মেয়েটা.. রান্নাঘরে কখনোই উঁকি দিয়ে দেখেনি;;
সে মেয়েটাই এখন রান্নাঘরের শ্রেষ্ঠ রাধুনি;;
যার হাতের রান্না না খেলে পরিবারের কারোরই তৃপ্তির ডেকুর উঠে না.!

যে মেয়েটা.. একসময় প্রচুর হাত খরচ করতো;;
বাবার কাছে এটা সেটার বায়না ধরতো;;
সে মেয়েটাই এখন অনেক কৃপণ হয়ে গেছে;;
কারণ সে বুঝতে শিখেছে তারও এখন একটা সংসার আছে.!
আর এই মেয়েগুলো আর কেউ না আপনার 'মা, মেয়ে, বোন।
আবার কারো সহধর্মিণীও.!

আসলেই মেয়েরা জন্মগতভাবে পরিবর্তনশীল হয়;;
বাবার সংসার থেকে স্বামীর সংসার এর মধ্যেই তাদের জগৎ সংসার.!

মেয়েদেরকে_ভালোবাসতে_শিখুন_তারা_যতই_খারাপ_হোক_না_কেনো
তারাই_কিন্তু _আপনার_জীবনের_সবকিছু_জন্ম_হতে_মৃত্যু_পর্যন্ত-
কোনো_না_কোনো_মেয়েই_আপনার_পাশে_থাকবেই_আপনাকে_সাহায্য_করার_জন্য_!!

জন্মাতে মায়ের আদর..।
তারপর বোনের আদর..।
তারপর কোনো মেয়েকে ভালোবাসলেন এবং বিয়ে করলেন, এরপর কোনো মেয়েই আপনার বউ হলো.!
তারপর আপনার মেয়ে হলো..।
হয়তো বৃদ্ধ বয়সে আপনার বউ আগেও মারা যেতে পারেন..তখন হয়তো আপনার মেয়েরাই..
আপনার দেখাশুনা করবেন..!

তাহলে কেনো সে মেয়েদেরকেই আপনি খারাপ বলবেন.?
মেয়েদেরকে আপনি বুঝান..আপনি পারেন তাদের বুঝাতে..।
কারণ মেয়েরা একমাত্র আপনার শাসনকেই ভয় পায়.!

ট্রেন্ডিং দুনিয়ার উল্লেখযোগ্য খবরাখবর জানতে ভিজিট করতে পারেন

০৭) কথা গুছিয়ে না বলতে পারার কারণ কী?

প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকেই এই প্রশ্নটি দেখে অথবা শুনে অভ‍্যস্ত!
তো গুছিয়ে এবং স্মার্টলিভাবে কথা বলতে হলে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
আমি কয়েকটা কৌশলের কথা বলব,
যেগুলো আপনি অবলম্বন করলে সবার সাথে গুছিয়ে কথা বলতে পারবেন।

১. যেহেতু আপনি গুছিয়ে বা আপনার মনের ভাব সম্পূর্ণ ভাবে অন‍্যর কাছে উপস্থাপন করতে পারেন না তাই
এমন ব্যক্তিদের অথবা বন্ধুদের সাথে চলাফেরা
করুণ যাদের কথা বলার ধরণ এবং অঙ্গ- ভঙ্গি সুন্দর অর্থাৎ এক কথায় যে স্মার্টভাবে কথা বলতে পারে।
দেখবেন তার সাথে চলতে চলতে ও আপনি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে কথা বলতে পারবেন।
এটাকে বলে সাহচর্যে ধারা প্রভাবিত।

২. বই পড়তে পারেন। কারণ বই থেকে অনেক শব্দ শেখা হয়।
আর গুছিয়ে এবং স্মার্টলিভাবে কথা বলতে চাইলে অবশ্যই সুন্দর শব্দের প্রয়োজন।
তাই বেশি বেশি বই পড়তে পারেন।

৩. স্বাভাবিক থাকা। আমরা অনেকেই আছি যারা অনেক বুদ্ধিমত্তার অধিকারী।
কিন্তু অন‍্যর সাথে কথা বলার সথা হেজিটেশনে পড়ে যাই, ভয় কাজ করে এবং শরীর কাঁপে।
তাই অন‍্যর সাথে কথা বলার সময় চেষ্টা করবেন স্বাভাবিক থাকার জন‍্য।

মোটামুটি এই তিনটি কৌশল অবলম্বন করলেই গুছিয়ে কথা বলতে পারবেন আশাবাদী।


অদৃশ্য কাব্য’র ট্রন্ডিং গুগল ওয়েব ষ্টোরিস দেখতে ভিজিট করতে পারেন

০৮) ডিপ্রেশন দূর করার সঠিক উপায় কী?

কিভাবে ডিপ্রেসন থেকে দূরে থাকা যায় ,সেটা বলার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ!

ক) ব্যস্ত থাকা - কোনো না কোনো কিছুতে সবসময ব্যাস্ত থাকবেন,কথায় আছে,
"खाली दिमाग शैतान का घर(খালি দিমাক শয়তান কা ঘর),
তো stay in present, involve in something.

খ) রিলেশনশিপ - "It's never a reason to stay in a relationship which is toxic,
"... সেইসব রিলেশন এ থাকুন যেগুলো আপনাকে আরো ভালো কিসু করতে ইন্সপায়ার করে।

গ) ভাল জিনিসগুলো লক্ষ করুন - নিজের মধ্যে কমজরীগুলো না কি কি কমতি রয়েছে সেগুলোতে focus না করে,
যেখানে সম্ভবনা আছে ,সেখানে নজর রাখুন, নিজেকে বেস্ট ভাবুন।
…. এছাড়া, পর্যাপ্ত ঘুমের খুবই প্রয়োজন,সেটা খেয়াল রাখতে হবে।


০৯) মানুষের গরিব হওয়ার কারণ কী?

ক)
শিক্ষায় প্রবেশাধিকারের অভাব: আয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ নির্ধারণে শিক্ষা একটি মূল বিষয়।
মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ না থাকলে মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে থেকে যায়।

খ)
বেকারত্ব বা বেকারত্ব: যখন লোকেরা উপযুক্ত কাজ খুঁজে পায় না,
তখন তাদের দারিদ্র্যের অভিজ্ঞতা বেশি হয়।
এটি কাজের সুযোগের অভাব বা কর্মীদের দক্ষতা এবং যোগ্যতা
এবং চাকরির বাজারের চাহিদার মধ্যে অমিলের কারণে হতে পারে।

গ)
অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা: দুর্বল স্বাস্থ্য মানুষকে কাজ করতে এবং জীবিকা অর্জনে বাধা দিতে পারে,
যা দারিদ্র্যের দিকে নিয়ে যায়।
স্বাস্থ্যসেবার অপর্যাপ্ত অ্যাক্সেস এই সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে,
কারণ লোকেরা ভাল স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় যত্ন গ্রহণ করতে অক্ষম।

ঘ)
সুবিধাবঞ্চিত সামাজিক এবং জাতিগত গোষ্ঠী:
প্রান্তিক সামাজিক ও জাতিগত গোষ্ঠীর লোকেদের প্রায়ই দারিদ্র্যের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এটি বৈষম্য, সম্পদ এবং পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেসের অভাব বা নিপীড়ন ও শোষণের ইতিহাসের কারণে হতে পারে।

ঙ)
প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সংঘাত: প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সংঘাত অর্থনীতিকে ব্যাহত করতে পারে,
অবকাঠামো ধ্বংস করতে পারে এবং মানুষকে তাদের বাড়ি ও জীবিকা থেকে বাস্তুচ্যুত করতে পারে।
এই ঘটনাগুলি দারিদ্র্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে,
কারণ লোকেরা তাদের জীবন পুনর্নির্মাণ করতে এবং সংস্থান এবং পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার করতে অক্ষম।

জীবন বিষয়ক মিঃ মধু’র ষ্পেশাল আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করতে পারেন

১০) নিজেকে পরিবর্তন করার সঠিক উপায় কি?

নিজেকে পরিবর্তন করার সঠিক উপায় জীবন অনেক ছোট কি করবো করবো না ভেবে পাইনা।
পড়তে বসলে পড়াশোনা মনোযোগ নেই কারণ আমাদের জীবন এর কোন লক্ষ্য নেই,
যদি জীবনের লক্ষ থাকতো তাহলে আমরা ভালো মতো পড়াশোনা করতাম।
যদি শপিংমল যাই কোন কিছু কেনাকাটা করতে তাহলে ভেবে পাইনা কোনটা ক্রয় করবো কোনটা ক্রয় করবো না হুট একটা...

জীবন অনেক ছোট কি করবো করবো না ভেবে পাইনা। পড়তে বসলে পড়াশোনা মনোযোগ নেই কারণ আমাদের জীবন এর কোন লক্ষ্য নেই, যদি জীবনের লক্ষ থাকতো তাহলে আমরা ভালো মতো পড়াশোনা করতাম।
যদি শপিংমল যাই কোন কিছু কেনাকাটা করতে তাহলে ভেবে পাইনা কোনটা ক্রয় করবো কোনটা ক্রয় করবো না ।
হুট করে একটা ক্রয় করে নিয়ে আসি তার পর কোন একজন বন্ধু যদি বলে এটা ভালো হয়নি তাহলে মনটা উদাসীন হয়ে পড়ে। তবে জীবনের সন্তুষ্টির জন্য আগে অবশ্যই দেখতে হবে নিজের দক্ষতা এবং নিজের পরিকল্পনা ।
এই দুইটা যখন আপনার ভিতরে থকবে তাহলে খুব সহজে আপনি ডিসিশন নিতে পারবেন অল্পসময়ের মধ্যে।

নিজেকে পরিবর্তন এর জন্য এই বিষয় গুলো মেনে চলুন?

ক) সময় অপচয় করা বন্ধ করতে হবে।অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে ভালো মতো দক্ষ করে তুলতে হবে।

খ) চিন্তা শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে হবে।প্রতিদিন আমাদের ব্রেইন ছোট বড় অনেক ডিসিশন নিয়ে থাকে।
ব্রেইনকে চাপ প্রয়োগ করার কোন দরকার ছোট ছোট কাজগুলোকে খুব সহজে করতে চেষ্টা করুন।

গ) আপনি কি করছেন সেটি সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে জানা থাকলে মনের মধ্যে সুখী ভাব চলে আসবে।

ঘ) নিজেকে সময় দিন সফল হওয়ার জন্য।

জীবন বিষয়ক মিঃ মধু’র ষ্পেশাল আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করতে পারেন

১১) কোন একজন নারীর সফলতার গল্প আপনি জানেন না?


১৭ বছর বয়সে, তিনি কলেজ থেকে প্রত্যাখ্যাত হন।

২৫ বছর বয়সে, তার মা রোগে মারা যান।

২৬ বছর বয়সে, তিনি গর্ভপাতের শিকার হন।

২৭ বছর বয়সে, তিনি বিয়ে করেছিলেন।
তার স্বামী তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। তা সত্ত্বেও তার মেয়ের জন্ম হয়।

২৮ বছর বয়সে, তিনি বিবাহবিচ্ছেদ পেয়েছিলেন এবং গুরুতর বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন।

২৯ বছর বয়সে, তিনি একজন একক মা ছিলেন যা কল্যাণে বাস করে।

৩০ বছর বয়সে, তিনি এই পৃথিবীতে থাকতে চাননি। তবে, তিনি তার সমস্ত আবেগকে একটি জিনিস করার জন্য নির্দেশ করেছিলেন যা তিনি অন্য কারও চেয়ে ভাল করতে পারেন। আর সেটা লেখা ছিল।

৩১ বছর বয়সে, তিনি অবশেষে তার প্রথম বই প্রকাশ করেন।

৩৫ বছর বয়সে, তিনি 4টি বই প্রকাশ করেছিলেন এবং তাকে বছরের সেরা লেখক হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল।

৪২ বছর বয়সে, তিনি প্রকাশের প্রথম দিনে তার নতুন বইটির 11 মিলিয়ন কপি বিক্রি করেছিলেন।
এই মহিলা জে.কে. রাউলিং। মনে আছে কিভাবে তিনি 30 বছর বয়সে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন?
আজ, হ্যারি পটার হল একটি বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড যার মূল্য $15 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
কখনো হাল ছাড়বেন না।

জীবন বিষয়ক মিঃ মধু’র ষ্পেশাল আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করতে পারেন

১২) কিভাবে জীবনকে অনেক বেশি সুন্দর করা যায়?

ক) জীবন সুন্দর করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে,
আমরা সব সময় পজিটিভ চিন্তা করতে হবে সহজ-সরল চিন্তা করতে হবে।

খ) এরকম চিন্তা করা যাবে না যা আমাদের আয়ত্তের বাইরে যা আমাদের সীমার বাইরে যে আমাদের ধৈর্যের বাইরে।
যা আমরা আয়ত্ত করতে পারব তা আমরা চিন্তা করতে হবে। যা আমরা আয়ত্ত করতে পারব না তা আশা করবো না।

গ) আমার মতে আমাদের জীবন আমাদের বর্তমান অবস্থা দেখে সুন্দর হয়না ।
আমাদের জীবন সুন্দর হয় আমাদের পরিকল্পনার উপর আমাদের চিন্তার উপরে আমরা যত সহজ সরল ভাবে চিন্তা করব,
আমাদের জীবন তত সহজ সরল হবে তত সুন্দর হবে।

ঘ) অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বেঁচে থাকতে হবে অতিরিক্ত হতাশা মানুষ কে ধ্বংস করে দেয় ।
আপনার কাছে পৃথিবীর যায় কিছু থাকুক না কেন আপনি যদি সবসময় হতাশাগ্রস্ত হয়ে থাকেন,
তাহলে কখনো আপনার জীবন সুন্দর হবে না ,
সবসময় প্রিয় মানুষের সাথে গল্প করুন প্রিয় মানুষদের সাথে পভ্রমণে বের হন তাদেরকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন ।

ঙ) জীবনে কারুর উপর প্রত্যাশা করা যাবে না। মানুষের উপর যত বেশি প্রত্যাশা করবেন।
তত বেশি মনে দুঃখ পাবেন তত বেশি আপনার কষ্ট হবে। নিজের উপর ভরসা করতে শিখুন।

চ) জীবন সুন্দর করতে হলে কোন না কোন কাজে আপনি লেগে থাকতে হবে।
বেকার অবস্থা কখনো আপনার জীবন সুন্দর হবে না।
জীবনকে সুন্দর করতে হলে অবশ্য আপনি কাজ করতে হবে কাজ কে ভালোবাসতে হবে।

ছ) কষ্ট করতে হবে বেশি, আশা করতে হবে কম, কখনো অন্যের সাথে তুলনা করা যাবে না।
সব সময় নিজের অবস্থা নিয়ে সুখী থাকতে হবে।

ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করলাম যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

গুগল নিউজে ফলো করুন “অদৃশ্য কাব্য” (মিঃ মধু)

১৩) সুন্দর একটি শিক্ষনীয় গল্প জানতে চান কি?

সন্তানের জন্য বাবার লেখা অসাধারন এক চিঠি। ভালো লাগলে আপনার সন্তানদেরও পড়তে দিন।

প্রিয় সন্তান,,
আমি তোমাকে ৩ টি কারনে এই চিঠিটি লিখছি...

ক) জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।

খ) আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।

গ) যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা-
এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

জীবনে চলার পথে এগুলো মনে রাখার চেষ্টা কোরো:

ক) যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখোনা।
কারন, তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়েনা।
আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে - তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা।
তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এজন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো-
তার মানে এই নয় যে সে সবসময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবোনা।

খ) জীবনে কিছুই কিংবা কেউই "অপরিহার্য" নয়, যা তোমার পেতেই হবে।
একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে,
তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে - বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে,
কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবেনা।

গ) জীবন সংক্ষিপ্ত।
আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে।
কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে,
ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে।

ঘ) ভালবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়।
মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে।
যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, ধৈর্য ধরো,
সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে।
কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা,
আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও অতিরঞ্জিত হবে না।

ঙ) অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিলনা-
এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে!
তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করোনা কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র।
কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে,
তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।

চ) আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে।
আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাবনা।
যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর,
তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে,
নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে।

জ) তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করোনা। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে,
তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে- তা প্রত্যাশা করবেনা।
যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে।

ঝ) আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি।
তার মানে হলো এই যে- যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না।

ঞ) তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো- সেটা কোন ব্যাপার না।
বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি ...মূল্যায়ন করি।
ভালোবাসা সহ,
তোমার বাবা......

বাবাটি হলেন একজন চাইল্ড সাইকোলজিষ্ট এবং হংকং-এর প্রখ্যাত টিভি সম্প্রচারকারী।
তার কথাগুলো বয়োজ্যেষ্ঠ, বয়োকনিষ্ঠ, বৃদ্ধ কিংবা তরুন, শিশু, আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য।

গুগল নিউজে ফলো করুন “অদৃশ্য কাব্য” (মিঃ মধু)

১৪) কিভাবে স্বপ্ন দেখা ও স্বপ্নকে পূর্ণ করতে হয়?

স্বপ্ন দেখা একটি সাধারণ মানসিক ঘটনা এবং এটি মানসিক স্তরে বিভিন্ন কারণে ঘটে।
স্বপ্নের জগতে থাকা আমাদের মনের দুঃখ, সুখ,
ভয় এবং আনন্দ সম্পর্কে বেশ কিছু কিছু সত্য হতে পারে এবং কিছু অসত্য হতে পারে।
স্বপ্ন দেখার সময় মনে হলে সেটি কখনও হয় কিংবা না হয় তা জানা যায় না।
একজন মানুষ যদি স্বপ্ন দেখতে চায় তবে তাকে কিছু কাজ করতে হবে এবং এর পরে স্বপ্ন দেখতে পারবে।

ক) দীর্ঘদিন শান্তির জীবনযাপন করুন।
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজ করে মনে দুর্বল হয়ে যাওয়া
এবং মানসিক চাপের মধ্যে থাকা স্বপ্ন দেখা অসাধারণ নয়।

খ) নিয়মিত রূপে ধ্যান করুন।
ধ্যান করে মেধাবী হওয়া যায় এবং শান্তি পাওয়া যায়।


১৫) শিবের মতো বর লাভের আকাঙ্খা কেন করে মেয়েরা?


"বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান। শিব ঠাকুরের বিয়ে হবে তিন কন্যে দান"।

ছোটবেলা থেকেই আমরা কমবেশি সকলেই থেকেই শিব ঠাকুরকে নিয়ে এধরনের প্রচলিত ছড়া কিংবা প্রবাদ শুনেছি।
পৌরাণিক মতে শিব কিন্তু মহাপ্রলয়ের দেবতা। যদিও পণ্ডিতরা প্রমান করেছেন, শিব প্রাগার্য অনার্য সংস্কৃতির দেবতা।
তিনি আদিনাথ, সিন্ধু সভ্যতায় পাওয়া গেছে পশুপতির মূর্তি , এইটা শিবের আদি রূপ জীবকুলের উপাস্য 'পশুপতিনাথ'।

যদিও দেবাদিদেব মহাদেবকে নিয়ে ছড়িয়ে আছে, অনেক লৌকিক এবং পৌরাণিক উপাখ্যান।
তবে লোককথায় শুনে এসেছি, ফাল্গুনের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি শিব ও উমা বা পর্বতীর বিবাহের দিন।
মহাশিবরাত্রি মাহাত্ম্য তাই অনেক। লোক বিশ্বাস এই দিনটি বছরের সবচেয়ে অন্ধকারতম দিন। বাংলা ছড়িয়ে আছে অনেক শৈবক্ষেত্র,
এবং প্রতিটি মন্দির স্থাপনের পিছনেই আছে বিভিন্ন লোককথা ও ।
তবে এসব ছাড়িয়ে শিব বাংলা সংস্কৃতির সাথে মিশে গেছে, শিব আমরা নিজেদের বাংলা সংস্কৃতির সাথে মিশেই ফেলেছি।
তাই দূর্গা আমাদের ঘরে মেয়ে, এবং মহাদেব সাদা মাটা বাঙালি হয়ে গেছে, যে কখন মাছ ধরে, চাষ করে।

যাইহোক মহা শিবরাত্রি ব্রতটি কিন্তু মেয়েলি আচার কৃত্যের মধ্যে অন্যতম হয়ে গেছে। যেহেতু এদিন মা দূর্গা ও শিবের বিবাহ সুসম্পন্ন হয়েছিল ,

সেইজন্য কুমারী মেয়ে কিংবা বিবাহিত মেয়েরা স্বামীর কল্যাণে শিবের প্রসন্নতা লাভের জন্য মহাশিবরাত্রি ব্রত করেন। শুধুমাত্র মেয়েরাই নয়,
ছেলেরাও নিজের অভীষ্ট কামনা লাভে 'আশুতোষ মহাদেব এর স্মরণাপন্ন হন। অনেক পন্ডিত কথায় যদিও শিব পুরাণ,
পদ্মপুরাণ, স্কন্দপুরাণ প্রভৃতি পুরাণে, মহাকাব্য কিংবা প্রাচীন সাহিত্যে শিব ও পার্বতীর গার্হস্থ্য জীবন বর্ণিত হয়েছে।
যুগ যুগ ধরে ভারতীয় সংস্কৃতির দাম্পত্যের শ্রেষ্ঠ আদর্শ 'হরগৌরী'।

কিন্তু বাংলা সাহিত্যের দৌলতে বা লোক কথার দৌলতে শিব পার্বতী সংসার অশান্তির কথাই শুনতে পাই।
কারণ শিব সাংসারিক জীবনের প্রতি উদাসিন এবং নেশাগ্রস্ত।
তবে এই উদাসীনতা বোধহয় সৃষ্টিকর্তা হিসাবে নিজের সৃষ্টিকে ধংস করতে সাহায্য করে শিবকে।
নেশা গ্রস্ত আসলে এটা প্রতীকি তিনি সকল প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত বস্তুকে গ্রহণ করে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেন বোঝাতেই বলা হয়।

আমাদের বুঝতে হবে তিনি সমুদ্র মন্থন সময় বিষ ধারন করেছিলেন।
অর্থাৎ তিনি সংসার তিক্ত অভিজ্ঞতার বিষ সহজেই ধারণ করতে পারেন।

শিবের মতো বর প্রার্থনা করা-এটাই কামনা। কিন্তু সত্যি কি এটা কাম্য?

আজকের সমাজ কি শিবের মেনে নিতে পারবে? যাকে সে যুগে দক্ষ প্রজাপতি মেনে নিতে পারেননি?
তথাকথিত আর্য-অনার্যের দ্বন্দ্বের মধ্যে যাকে টেনে আনছি না আমি আর।
কিন্তু সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তিনি চিরকাল গর্জন করে উঠেছেন অসামাজিকদের দেবতা হয়ে।
বৈদিক বা বেদোত্তর যুগের তিন শ্রেষ্ঠ দেবতা ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর এর মধ্যে মহেশ্বর শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয় ,
কারণ-ব্রহ্মা বা বিষ্ণুর চেয়ে বেশি বাঁধা পেতে হয়েছে, তাঁকে তাঁর নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।
তাঁর পূজা, তাঁর আচার সবকিছুই সহজ থেকে সহজতম আবার জ্ঞান,পাণ্ডিত্য,মেধা,স্থূল বিদ্যা যাকে স্পর্শ করতে পারে না,
কেবলমাত্র ভক্তের সরল আকুতিতেই তিনি সন্তুষ্ট। তাই ব্রাহ্মনের দ্বারা তাঁরা বেশি প্রচার পায়নি তিনি।

শিবের চরিত্র এক্কেবারে আলাদা-স্রোতের বিপরীতে একটি ব্যক্তিত্ব। যাঁর মধ্যে ত্যাগ তিতিক্ষা সংযম সন্ন্যাসের পরাকাষ্ঠা দেখা যায়। আবার কখনো তার মধ্যে সতী কিংবা পার্বতীর প্রতি এক নিঃশব্দ প্রেমিক রূপে, রক্ষক রূপে রাজসিকতার বহিঃপ্রকাশও দেখা গেছে নিরন্তর।
সকলে প্রেমের প্রতীক কৃষ্ণকে ধরা হলেও। প্রেমিক -শিব,আরো বড়ো। সতীরদেহ ত্যাগ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে।
তবে চিরকালই তিনি Instant Decision Maker অথবা মুহুর্তের মধ্যে নিজ গতিপথ পরিবর্তনকারী ব্যক্তিত্ব।
তিনি একদিকে আবেগের প্রতিমূর্তি অপরদিকে কর্তব্য ও ধর্মরক্ষার সংস্থাপক। বাঙালী পল্লীকবির কাব্যে,
পদাবলী কীর্তনের সুরে শিব তথাকথিত সাংসারিক নন,বোম ভোলা প্রকৃতির।
নুন আনতে পান্তা ফুরায় গোছের কর্তব্য সম্পর্কে উদাসীন একটা ব্যক্তিত্ব,
কারণ বাঙ্গালীরা আবেগপ্রবণ বেশি এবং দেবতাকে দেবত্বের থেকে বহুলাংশেই নিজের ঘরের মানুষ,
আত্মীয় পরিজনের মত ব্যাখ্যা করতে অভ্যস্ত।

গুগল নিউজে ফলো করুন “অদৃশ্য কাব্য” (মিঃ মধু)

আজকের যুগের মেয়েরা কথা নয় যুগ যুগে মেয়েরা কি চান?

•Economically Secured Safe Life,
সব দিকটাকে ম্যানেজ করে চলতে পারা এরকম একজন পুরুষের ঘরণী হতে অর্থনৈতিকভাবে যাকে সমৃদ্ধ হতেই হবে।
কৃষি নির্ভর বাঙালি সমাজে হয়তো হয়তো তাই শিবের মতো বর পেলে কোন সমস্যায় পরতো বাঙালি মেয়েরা।
কিন্তু শিব কি এরকম ছিলেন?

শিবের ব্যক্তিত্ব নিয়ে কিংবা চরিত্র অথবা ভালোবাসার প্রামাণ্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা চলে না,
জাগতিক প্রতিষ্ঠা,প্রাসাদোপম মহল-এসব তো তার কিছুই ছিল না, কিন্তু তিনিই সৃষ্টি কর্তা অথচো উদাসীন তিনি, নিজের ভোগ বিলাসে।
শিব চিরকালই বঞ্চিত নিপীড়িতদের দেবতা,।সামান্য জল আর বেলপাতা দিয়ে শিবের কৃপা লাভ করতে পেরেছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে সমুদ্রমন্থন কালে ব্রহ্মা-বিষ্ণু এবং ইন্দ্রাদি সকল দেবতা অসুরগণ ছিলেন,
সকলেই সমুদ্র মন্থন থেকে উদ্ভূত দ্রব্য সামগ্রীর লাভ,ভালো ভালো বিষয়গুলিকে গ্রহণ করেছেন কিন্তু হলাহল পান করলেন শুধু শিব। একজন আদর্শ পুরুষ।

আসলে শিব হলেন ভবিষ্যৎ।সৃষ্টি-স্থিতি আর প্রলয় অর্থাৎ সংহার,সেই সংহারের পর আবার সৃষ্টি আবার স্থিতি আবার প্রলয়। এই যে কালচক্র সেই কাল চক্রের মূল নিয়ন্ত্রক হলেন মহাকাল অতীতে যা ছিল বর্তমানে যা আছে,
আগামীতে যে সে সব কোন কিছুই থাকবে না সেই যে না থাকা অবস্থা,কালাতীত-সেই অবস্থাটিই হলেন শিব,
যার পরে আর কিছু নেই যিনি সবকিছুর আদি এবং অন্ত।



এতক্ষন এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

"দৃশ্যমান জীবনের অদৃশ্য কাব্য"
আমি কবি নই শব্দ প্রেমিক,
শব্দের নীল হাতুড়ি পিটাই-
ভুল বোধে ভুল চেতনায়।

No comments

Powered by Blogger.